বই মেলা - bdwritten.blogspot.com

Latest

ভালোবাসার গল্পো ,কবিতা,গান, ও না জানা কথা দিয়ে সাজানো

Sunday, February 28, 2016

বই মেলা

এই মেলার ইতিহাস স্বাধীন
বাংলাদেশের মতোই প্রাচীন। যতদূর
জানা যায়, ১৯৭২ খ্রিস্টাব্দের ৮
ফেব্রুয়ারি তারিখে চিত্তরঞ্জন
সাহা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন
বর্ধমান হাউজ প্রাঙ্গনে বটতলায় এক
টুকরো চটের ওপর [১] কলকাতা থেকে
আনা ৩২টি বই সাজিয়ে বইমেলার
গোড়াপত্তন করেন। এই ৩২টি বই
ছিলো চিত্তরঞ্জন সাহা প্রতিষ্ঠিত
স্বাধীন বাংলা সাহিত্য পরিষদ
(বর্তমান মুক্তধারা প্রকাশনী) থেকে
প্রকাশিত বাংলাদেশী শরণার্থী
লেখকদের লেখা বই। [২] এই বইগুলো
স্বাধীন বাংলাদেশের প্রকাশনা
শিল্পের প্রথম অবদান। ১৯৭২ থেকে
১৯৭৬ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত তিনি একাই
বইমেলা চালিয়ে যান। ১৯৭৬
খ্রিস্টাব্দে অন্যান্যরা অনুপ্রাণিত
হোন। ১৯৭৮ খ্রিস্টাব্দে বাংলা
একাডেমীর তৎকালীন মহাপরিচালক
আশরাফ সিদ্দিকী বাংলা
একাডেমীকে মেলার সাথে সরাসরি
সম্পৃক্ত করেন। ১৯৭৯ খ্রিস্টাব্দে
মেলার সাথে যুক্ত হয় বাংলাদেশ
পুস্তক বিক্রেতা ও প্রকাশক সমিতি;
এই সংস্থাটিও প্রতিষ্ঠা করেছিলেন
চিত্তরঞ্জন সাহা। ১৯৮৩ সালে
কাজী মনজুরে মওলা বাংলা
একাডেমির মহাপরিচালক হিসেবে
বাংলা একাডেমিতে প্রথম "অমর
একুশে গ্রন্থমেলা"র আয়োজন সম্পন্ন
করেন। কিন্তু স্বৈরাচারী এরশাদ
সরকারের বিরুদ্ধে শিক্ষা ভবনের
সামনে ছাত্রদের বিক্ষোভ মিছিলে
ট্রাক তুলে দিলে দুজন ছাত্র নিহত
হয়। ওই মর্মান্তিক ঘটনার পর সেই
বছর আর বইমেলা করা সম্ভব হয়নি।
১৯৮৪ সালে সাড়ম্বরে বর্তমানের
অমর একুশে গ্রন্থমেলার সূচনা হয়। [৩]
সেই ৩২টি বইয়ের ক্ষুদ্র মেলা
কালানুক্রমে বাঙালির সবচেয়ে
স্বনামধন্য বইমেলায় পরিণত হয়েছে।
বাংলা একাডেমী চত্তরে স্থান
সংকুলান না-হওয়ায় ২০১৪ খ্রিস্টাব্দ
থেকে বইমেলা সুহরাওয়ার্দ্দী
উদ্যানে সম্প্রসারণ করা হয়েছে৤ [৪]
এ বছর ২৯৯টি অংশগ্রহণকারী
প্রকাশকের মধ্যে ২৩২জন কে
সুহরাওয়ার্দ্দী উদ্যানে স্টল বরাদ্দ
করা হয়৤ ২০০২ খ্রিস্টাব্দে মেলায়
২৪০জন এবং ২০১২ খ্রিস্টাব্দে
সর্বোচ্চ ৪২৫ জন প্রকাশক অংশগ্রহণ
করেছিল৤

1 comment:

কিভাবে একজন সফল ব্লগার হিসেবে নিজেকে তৈরি করবেন

সফল বলি। একজন সফল ব্লগার হিসেবে যদি আপনি নিজেকে প্রস্তুত করতে চান তবে আপনাকে কয়েকটি বিসয়ের উপরে খুব ভালোভাবে গুরুত্বারোপ করতে হবে। নিম্নে ব...